,

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা।

“মোঃ মজিবর রহমান শেখ”

(এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম): 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১ নং– ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ঐ ইউনিয়নের ১২ জন ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) তারা ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ এনে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও নিবার্হী কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ করছেন।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১ নং –ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় ঐ ইউনিয়নে বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফের খাদ্য বিতরণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ইউনিয়নের ৯ জন ইউপি সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের ৩ নারী সদস্যকে বাদ দিয়ে নিজেই সবকিছু স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সম্পাদন করে আসছেন। দায়িত্বগ্রহণের পরপরই সাব রেজিষ্ট্রি হতে জমিজমা বিক্রির কমিশন ১% হিসেবে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে নলকূপ স্থাপনের প্রকল্প নিলেও আজ পর্যন্ত কোথাও একটি নলকূপ বসানো হয়নি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ইউপি সদস্য কার্তিক চন্দ্র, ঈমান আলী বলেন, চেয়ারম্যান ঐ টাকার বিষয়ে কোনো কিছু বলতে রাজি হয় না। সেটি তার ব্যক্তিগত দাবি করে মেম্বারদের প্রত্যাখান করে আসছেন। সম্প্রতি ঐ ইউনিয়নে এডিবির ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যের না জানিয়ে নিজের পছন্দের লোকজনের মাঝে ৩০টি স্প্রে মেশিন বিতরণ করেন। কাবিখা (টিআর) প্রকল্পের ৪৭ হাজার টাকা বঙ্গবন্ধুর মুর্যালের বাউন্ডারি করার প্রকল্প নিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সেই বরাদ্দের অর্থ ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেন। দরিদ্র লোকজনের মাঝে ১ হাজার ৫০টি টিসিবির কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হলেও মালামাল উত্তোলনের সময় উপকারভোগীর কার্ড চেয়ারম্যান তার নিজ হেফাজতে রেখে দেন। খবর না পাওয়ায়, যারা মালামাল উত্তোলন করতে পারে না চেয়ারম্যান তাদের বরাদ্দের মালামাল উত্তোলন করে ব্যবসায়ীদের মাঝে বিক্রি করে দেন। এ রূপ ৫৫টি প্যাকেজ অন্যত্র বিক্রির সময় ধরা হলেও চেয়ারম্যান বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নে ননওয়েজ হিসেবে ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়ে সন্নাসীপাড়া এলাকায় একটি ইউড্রেন নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পাইপ দিয়ে নামকাওয়াস্তে কাজ সম্পাদন দেখিয়ে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন। তারা আরও বলেন, এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় বোনাস হিসেবে ঐ ইউনিয়নে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্তু চেয়ারম্যান কোনো ইউপি সদস্যের কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এছাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মাঝে হোল্ডিং নাম্বার বিতরণ করা হয়। হোল্ডিং প্রতি ১ শ টাকা করে আদায় করা হয়। মোট টাকার শতকরা ২০ শতাংশ টাকা ইউপি চেয়ারম্যান হাতিয়ে নেয়। কতটি হোল্ডিং খোলা হয়েছে তার হিসেব নেই ইউপি সচিবের কাছে। তারা বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ঢোলাহাট ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৫টি কার্ড রয়েছে। অতিদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে চাল দেওয়া হয়। মৃত ও এলাকায় থাকেন না এরকম প্রায় শতাধিক কার্ড পরিবর্তন করা হলেও কোনো ইউপি সদস্যদের ওয়ার্ডে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে নির্বাচিত ইউপি সদস্যরা স্ব স্ব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কোনো কাজে ভূমিকা রাখতে পারছেন না। এ অবস্থায় বেশ কিছুদিন ধরে ইউপি সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বর্জন করে আসছেন। তারপরও চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের বোধোদয় না হওয়ায় ৯ ইউপি সদস্য ও ৩ নারী সদস্য শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান,


More News Of This Category